শরীকদের উইনেবল প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন আসন বন্টন নিয়ে ভাববেন না। আশা করি এ নিয়ে সমস্যা হবে না। যে যতটা আসন চান পাবেন তবে সবাইকে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। রোববার রাতে গণভবনে চৌদ্দ দলের বৈঠকে শরীক দলগুলোকে এমন বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক শরীক দলের ৫ নেতা বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চৌদ্দ দলীয় জোটের শরীকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আসন বন্টন নিয়ে ভাববেন না। আশা করি এ নিয়ে সমস্যা হবে না। যে যতটা আসন চান পাবেন তবে সবাইকে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। চৌদ্দ দলীয় জোট একটি আদর্শিক জোট। দেশের মানুষ জানে এই জোট মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িকতা বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে। সুতরাং আপনারা জনপ্রিয় প্রার্থী বের করুন।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে এবং ফ্রি ফেয়ার হবে। চৌদ্দ দলকে নিয়ে আমরা নির্বাচনে যাবো এতে কোন সন্দেহ নেই।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারী আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহী কিছু নেতা শরীকদলগুলোর তৃণমূলের নেতাদের ছোট করে দেখেন। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে। আমাদের তৃনমূলের প্রার্থীরা এতে বিব্রত। এসময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই অভিযোগের সূত্র ধরে কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একত্রে আছি, একত্রে থাকবো। একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের রায়ের মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত করবো। সুতরাং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এইরকম অভিযোগ আসলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত শরীক দলের এক নেতা জানান, আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে পুনরায় যে সংলাপ হতে যাচ্ছে তাতে সংবিধান বহির্ভূত কোন দাবি মেনে না নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের বাইরে কোন আলোচনা গ্রহণ করা হবে না।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা শেষে ৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন অথবা জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে বিভিন্ন দলের সঙ্গে করা সংলাপের সারাংশ তুলে ধরে নিজের বক্তব্য দিবেন।
চৌদ্দ দলীয় জোটের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান। উপস্থিত অন্য নেতারাও পৃথক পৃথক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।copy by bd-journal